পহেলা বৈশাখ কি এবং ইসলামী শরীয়তে এর জায়েজ কি?

প্রথম আপনাদের বলব বাংলা সনের আদি ইতিহাস

১) বাংলা সন কোন হিন্দু ধর্ম সম্প্রদায়ের সন নয় বরং এর আছে গৌরবময় ইতিহাস।

মুঘল সম্রাট আকবর এর পূর্বে রাজস্বতো হিজরি সনের উপর ভিক্তি করে কারন তখন শাসন ব্যবস্থা ছিল ইসলামি শাসন ব্যবস্থা কায়েম ছিল তাউ তারা হিজরি সন অনুসরন করত কিন্তু ভোগলিক অবস্থান পরিবর্তন হওয়ার কারনে হিজরি সন অনুসরন করে রাজস্ব আদায় করা সম্ভব ছিল না তার কারন হল ফসল সংগ্রহ করা হতো সৌরবর্ষ অনুযায়ী সম্রাট আকবর বর্ষ পন্ঞি সংস্কারের প্রয়োজন অনুভব করেন। তাই সম্রাট আকবর বিশিষ্ট বাঙ্গানীও জ্যোতিবির্দ দের নিয়ে বর্ষ পন্ঞি সংস্কার করেন এবং তার প্রচেষ্ঠা ৯৬৩ হিজরির মহরম মাসের শুরু থেকে বাংলা বর্ষের ৯৬৩ অব্দের সূত্র পাত হয়। এর পর থেকে বাংলার সকল ব্যবসায়ী ও দোকানদার পহেলা বৈশাখে ‘হালখাতা’ করতেন এবং পহেলা বৈশাখ এসব কর্মকাণ্ডের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল এই হল পহেলা বৈশাখ এর প্রকৃত ইতিহাস

পহেলা বৈশাখ কি এবং ইসলাম

ী শরীয়তে এর জায়েজ কি?

২) ইসলামী শরীয়ত অনুযায়ী আজকের পহেলা বৈশাখ

সুবেহ সাদিক হওয়ার পরে মুসলিম ফজরের নামাজ পরে প্রত্যেক দিন কিন্তু পহেলা বৈশাখ এর দিন সবায় সূর্য উদিত হবার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে মঙ্গল শোভাযাত্রা এর নামে প্যাঁচা এর প্লেকার্ড হাতে নিয়ে শিরকী মিছিল করে যেটা ইসলাম পরিপন্থি ঢোল-তবলা-ডুগডুগি বাজিয়ে, জীব-জানোয়ারের মুখোশ পরে কিংবা মাথায় নিয়ে, ছেলেমেয়ে একসাথে হুল্লোড় করতে করতে নাচতে থাকে মিছিলে। মঙ্গল শোভাযাত্রার মূল উপাদ্য থাকে "সমাজ থেকে অশুভ শক্তি বিদায়" করা। মাথায় করে নিয়ে বেড়ানো এইসব জীবজন্তুকে তারা অশুভ শক্তি দূর করার প্রতীক বলে মানেন!রমনা বটমূলে সূর্য ওঠার সাথে সমবেত কন্ঠে রবীন্দ্র সংগীত গাওয়ার মাধ্যমে নতুন বর্ষকে বরণ করে নেয়া হয়। বাহ! ফজরের সালাতের পরিবর্তে ছেলেমেয়ে একসাথে বসে সংগীতের মাধ্যমে দিন শুরু করেন।কপালে লাল টিপ, সিথিতে সিঁদুর দেয়া মেয়েরা লাল পাড়ের সাদা শাড়ি সহ ধুতি-পাঞ্জাবী পরা ছেলেদের হাত ধরে শহরময় ঘুরে বেড়ান। দ্বীন ইসলামে 'পর্দা' নামে যে একটি বিষয় আছে – সেদিন বুঝার কোন উপায় থাকে না।সত্যি অবাক করা মতো পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে নতুন ডিজাইনের জামাকাপড় আসে মার্কেটে। নতুন জামা না কিনলে প্রেস্টিজ থাকে না তরুণ-তরুনীদের। কেনাকাটা, সেই উপলক্ষে ঘুরে বেড়ানো ঈদের চেয়ে কোন অংশে কম মনে হয় না। বড় বড় কর্পোরেট কোম্পানি গুলো উন্মুক্ত কনসার্টের আয়োজন করে। নারীপুরুষ কোন ভেদাভেদ ছাড়াই সেখানে ভিড় করে গান শুনে, নাচে, উল্লাস প্রকাশ করে। এমনসব অনুষ্ঠানকে আপনি কি ভাবে দেখবেন বলেন? উপরের সব কয়টি 'কাজ' পবিত্র কুরআন এবং হাদীসের আলোকে স্পষ্টতঃ শিরক, কুফর, হারাম ও বিদ'আত। রাসুলুল্লাহ (সা.), তার সাহাবীরা, পরবর্তী তাবেঈ ও তাবে তাবেঈ দের কেউ এই জাতীয় কোন অনুষ্ঠান পালন করেছেন বলে খুঁজে পাওয়া যায় নি। ইসলামি শরীয়াহতে এই সব আচারের কোন বিধান নেই। এই সব অনুষ্ঠানের সাথে যাবতীয় সম্পৃক্ততাকে ইজমা'র পরিপ্রেক্ষিতে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন সম্মানিত উলামারা

-হে মুহাম্মাদ ! তাদেরকে জিজ্ঞেস করুণ, আমরা কি আল্লাহকে বাদ দিয়ে তাদেরকে ডাকবো, যারা আমাদের উপকারও করতে পারে না, অপকারও করতে পারে না? আর আল্লাহ যখন আমাদের সোজা পথ দেখিয়ে দিয়েছেন তখন আবার কি আমরা উল্টো দিকে ফিরে যাবো? আমরা কি নিজেদের অবস্থা সে ব্যক্তির মতো করে নেবো, যাকে শয়তানরা মরুভূমির বুকে পথ ভুলিয়ে দিয়েছে এবং সে হয়রান, পেরেশান ও উদ্ভান্ত হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে? অথচ তার সাথীরা তাকে চীৎকার করে ডেকে বলছে, এদিকে এসো, এখানে রয়েছে সোজা পথ? বলো, আসলে আল্লাহর হেদায়াতই একমাত্র সঠিক ও নিভুর্ল হেদায়াত এবং তাঁর পক্ষ থেকে আমাদের কাছে নির্দেশ এসেছে, বিশ্ব জাহানের প্রভুর সামনে আনুগ্রত্যের শির নত করে দাও। [সূরা আনআম-৭১]

অনেকেই প্রশ্ন করবেন বলে রেডি হয়ে আছেন নিশ্চিত – “পহেলা বৈশাখ তো আমাদের হাজার বছরের ঐতিহ্য। এটি তো ধর্মীয় কোন উত্সব নয়। তাহলে এইটা কেন বিদ'আত হবে? বাংলা আমাদের মাতৃভাষা। আমাদের বাংলা বর্ষ শুরুর দিনে আমরা তো একটু আনন্দ করতেই পারি।“

(২.১) ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান। মুসলমানদের জন্য উৎসবের দিন ২ টি। এর বাইরে কোন একটি দিনকেও উৎসব আকারে নেয়ার কোন উপায় নেই আমাদের। উপরের শেষ হাদীসটি-ই যথেষ্ট এই বিষয়টি প্রমান করার জন্য।

(২.২) রাসুলুল্লাহ (সা.) মদীনায় যাবার পরে যে দুইটি উৎসব বাতিল ঘোষণা করে মুসলিমদের দুই ঈদের ঘোষণা দিয়েছিলেন, তার একটি ছিল "মুসলিম এর নতুন বর্ষের উৎসব!

https://www.facebook.com/AkhandRayhanUddin/photos/a.378325185981210.1073741828.311215379358858/382402302240165/?type=3&theater