পঞ্চাশের মন্বন্তরের কারণ

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্রিটিশ সরকারের তীব্র অর্থনৈতিক শোষণ এর ফলে অবিভক্ত বাংলার হাজার 1943 খ্রিস্টাব্দে এক ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ দেখা দেয় প্রায় এক বছর ধরে সারাবাংলা কে দাপিয়ে বেড়ায় এই মন্বন্তর এই মন্বন্তর এর কারণগুলি হল

এক খাদ্য উৎপাদন রাস হাজার 1940 বাংলায় সীমিত খাদ্য সংকট দেখা দিলে দরিদ্র মানুষের সময় ফুরিয়ে যায় এর পরের বছর অর্থাৎ 19430সালে ঘূর্ণিঝড় বন্যা ও তার বাংলার আমন ধানের উৎপাদন স্থগিত হয় এবং প্রায় এক লক্ষ নব্বই হাজার গবাদি পশু মারা যায় ধানের উৎপাদন থেকে 90 শতাংশ কমে গেল 1943 সালের খাদ্য সংকট দেখা দেয়

বাণিজ্য কোনটি হাজার 942 সালে ব্রিটিশ সরকার বাণিজ্য কোনটি চালু করলে ব্যবসায়ীরা অন্যান্য প্রদেশ থেকে বাংলায় খাদ্যশস্য আমদানি করতে পারেনি এই সময় বিভিন্ন প্রদেশের সরকার তাদের ক্ষমতার প্রয়োগ করে নিজেও দেশের বাইরে খাদ্যশস্য রপ্তানি তে বাধা সৃষ্টি করে

খাদ্য সরবরাহ ব্যাহত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় বাংলার গ্রামীণ রাস্তাগুলি ভেঙে গেলে যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এই অবস্থায় দুর্ভিক্ষ পীড়িত গ্রামগুলি খাদ্য ও চিকিৎসা সুযোগ পৌঁছে যায় মুশকিল হয়ে পড়ে

বার্মা থেকে চাল আমদানি ব্যাহত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে বাংলা বার্মা থেকে চাল আমদানি করে বাংলায় চালের আরত এর অনেক ঘাটতি মেটানো হত জাপানের দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় পাওনা দখল করে নিলে বাংলায় চাল আমদানি বন্ধ হয়ে যায় ফলে বাংলায় খাদ্য ভান্ডার টান পড়ে

মজুতদারী দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় বাংলা জাপানি আক্রমণের আশঙ্কার পরিস্থিতি সেনাবাহিনীর জন্য প্রচুর চাল বাংলায় বোটানিক্যাল গার্ডেনে মজুদ করে এছাড়া খাদ্যসংকটে আজ করে ব্যবসায়ীরাও প্রচুর খাদ্যশস্য মজুদ করে এবং দুর্ভিক্ষের সময় তারা চড়া দামে বিক্রি করে

প্রবন্ধটির লেখক হলেন চন্দ্রদ্বীপ রায়। ঠাকুরনগর হাই স্কুল এর দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র

।।ধন্যবাদ পড়ার জন্য।।